‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক আলােচনা অনুষ্ঠানের উপযােগী একটি ভাষণ তৈরি কর-ভাষণ

গণতন্ত্র মানবাধিকারশীর্ষক আলােচনা অনুষ্ঠানের উপযােগী একটি ভাষণ তৈরি কর।

গণতন্ত্র মানবাধিকারশীর্ষক আলােচনা অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, মঞ্চে উপবিষ্ট সম্মানিত আলােচকবৃন্দ উপস্থিত সুধীবৃন্দ সবার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিনন্দন।

সুধীমণ্ডলী

গণতন্ত্র মানবাধিকার একটির সঙ্গে অপরটি ওতপ্রােতভাবে জড়িত। গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই যেখানে মানুষ মানবাধিকার বঞ্চিত সেখানে গণতন্ত্রও ভূলুণ্ঠিত।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী

রাষ্ট্র পরিচালনার আধুনিক সর্বাপেক্ষা গ্রহণযােগ্য শাসনব্যবস্থা হলাে গণতন্ত্র। শাসনব্যবস্থায় জনগণ ভােটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে। যেহেতু গণতন্ত্র জনগণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তাই, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের সমান ক্ষমতা সমান অধিকার নিশ্চিত থাকে। অপরদিকে মানবাধিকার হলাে সর্বজনস্বীকৃত মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ-ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সমান অধিকার নিশ্চিত করাই মানবাধিকারের মর্মবাণী।

প্রিয় সুধীমণ্ডলী

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধভাবে একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে বাস করে আসছে। সমাজবদ্ধভাবে বসবাসের জন্য মানব সন্তান জন্মগতভাবেই কিছু সুযােগ সুবিধার দাবিদার যা ব্যতীত মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকশিত হতে পারে না। সর্বজনস্বীকৃত এই সুযােগ সুবিধাই মানবাধিকার। সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট ছিল। যার পরিচয় পাওয়া যায় প্রাচীনতম আইন সংকলক ব্যাবিলনের রাজা হাম্বুরাবির নিয়মাবলিতে মানবাধিকারের ধারণা থেকে। তারপর খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক প্রণীতমদিনা সনদ'- জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। সকল নাগরিকের সমঅধিকারের পূর্ণ স্বীকৃতি পাওয়া যায়। এছাড়া ১২১৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত হয় ইংল্যান্ডের ম্যাগনাকার্টাযাকে। বলা হয় মানবাধিকারের প্রথম চাটার। এরপর ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মৌলিক মানবাধিকারসমূহ গৃহীত ঘােষিত হয়। সেদিন থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ প্রতি বছর এদিনকে মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করে। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও সত্যিকার মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের মানুষ প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার বঞ্চিত। কারণ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও এখনও পর্যন্ত এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের সুফল ভােগ করতে পারেনি।

উপস্থিত সুধীমণ্ডলী

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস চরম বেদনাদায়ক। দুর্নীতি, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, নৈরাজ্য, রাজনীতিক অস্থিরতায় গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত। ক্ষমতাকে দীর্ঘদিন স্থায়ী করার জন্য মনগড়া আইন প্রণয়ন করছে। ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা ক্ষমতার দাপটে মানুষের অধিকার হরণ করছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষ যেমন মানবাধিকার বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনই বিশ্বের দরবারে দেশবাসীর মাথা নিচু হচ্ছে।

প্রিয় সুধীমণ্ডলী

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় দেশেই সঠিক গণতন্ত্র চর্চার অভাবে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। অবস্থা বেশিদিন চলতে দেওয়া উচিত নয়। তাই আসুন সবাই মিলে সুস্থ গণতন্ত্রের চর্চা করি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি। তাহলে আশা করা যায়, সমস্ত বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।


Share This Post

Post Comments (10)


Hpeniz

buy lioresal for sale - buy piroxicam 20mg for sale piroxicam pills

Ijvcct

brand diclofenac - buy generic nimotop online oral nimodipine

expitle

Achieving Better Health - How Medications Can Make a Difference what is viagra for men?

Scfacu

pyridostigmine cost - oral sumatriptan order imuran 50mg pills

expitle

How does the FDA evaluate the potential for drug-drug interactions cialis walmart over the counter?

Lccfxg

how to buy rumalaya - amitriptyline 50mg over the counter buy endep generic

Xvgxom

buy voltaren 100mg - brand aspirin 75 mg aspirin 75mg uk

unwiche

Can a healthcare provider prescribe a branded medicine instead of a generic if requested by the patient levitra coupon. Immunization Strategies - From Childhood to Adulthood

Yxmndq

order colospa generic - arcoxia 120mg over the counter buy cilostazol 100 mg pills

AREFLYWER

buy priligy Acta Microbiol

Latest Post

Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম